Logo
শিরোনাম
বদলি নীতিমালায় ১৯ হাজার বিসিএস ক্যাডারে অসন্তোষ
ক্রাইম ভিশন

প্রকাশ: 04 Sep 2025 | 09:50am | আপডেট: 04 Sep 2025 | 09:50am

বদলি নীতিমালায় ১৯ হাজার বিসিএস ক্যাডারে অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বদলি নীতিমালা নিয়ে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১৯ হাজার সদস্যের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আগে ঢাকার বাইরে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বদলি করতে পারত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। কিন্তু নতুন নীতিমালায় সে সুযোগ আর রাখা হয়নি। সব ক্ষমতা নিজেদের কবজায় নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এখন ঢাকাসহ বড় সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে অন্য জেলা ও উপজেলায় শুধু প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বদলির ফাইল উপস্থাপন করতে পারবে মাউশি অধিদপ্তর। তবে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ জুন সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি ও পদায়ন নীতিমালা ২০২৫ জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

একই দিন উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের অনলাইন আবেদনসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তির মধ্যেও অসামঞ্জস্য দেখা গেছে।

বদলির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বদলি-পদায়ন নীতিমালা অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক, উপাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ, ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় শহর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনভুক্ত সব পদ এবং প্রাতিষ্ঠানিক পদের নিয়োগ ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত থাকবে এবং সারা দেশের অবশিষ্ট পদের (প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক) বদলিভিত্তিক পদায়নের ক্ষমতা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ন্যস্ত থাকবে। অথচ নীতিমালায় মাউশির শুধু ফাইল উপস্থাপনের ক্ষমতা রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মো. মজিবর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তির মধ্যে যে অসামঞ্জস্য রয়েছে, তা স্পষ্টীকরণ করা হবে। তবে নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন বা সংশোধন আনা হবে কি না, সে ব্যাপারে উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় সিদ্ধান্ত নেবেন। সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’

শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, আগের সিনিয়র সচিব তাঁর দু-একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন।

সেই সিন্ডিকেটে ধরা না দিলে বদলি বা ভালো পদায়ন পাওয়া যেত না। তাঁরাই মূলত সব ধরনের বদলি নিজেদের কবজায় নিতে এই ধরনের নীতিমালা করেছেন। কিন্তু এখন ওই সিন্ডিকেট না থাকলেও আমলারা নিজেদের হাতে সব ক্ষমতা রাখতে সেই নীতিমালায় পরিবর্তন আনছেন না।

নাম প্রকাশ না করে একাধিক শিক্ষক বলেন, আমাদের সুযোগ-সুবিধা বা সমস্যার কথা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বলা সম্ভব নয়। এমনকি একই গ্রেডে বেতন পেয়েও উপসচিবরা আমাদের পাত্তা দেন না। অনেক সময়ই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। আর সচিবালয়ে ঢোকাও তো সম্ভব না। কিন্তু মাউশি অধিদপ্তরে যেহেতু শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে কথা বলা সম্ভব। সমস্যার কথা বোঝানো সম্ভব। আর মাউশি অধিদপ্তর যদি ঢাকার বাইরের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক বদলি করতে না পারে, তাহলে এই অধিদপ্তরেরই কী দরকার? এত কর্মকর্তা বসে আছেন, তাঁদের তেমন কোনো কাজ নেই। যতটুকু ছিল, তা-ও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ